গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত শুকিয়ে উঠার আগেই ফের নতুন বন্যার মুখে পড়েছে ফেনীর মানুষ। এবারের দুর্যোগে ফুলগাজী ও পরশুরামের জনগণ পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া এবং সিলোনিয়া নদীর পানির প্রবল চাপের ফলে নতুন করে একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে যেসব এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে, সেখান দিয়ে এখনও পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। জানা গেছে, অন্তত ২১টি স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে।
যমুনা টিভির প্রতিবেদক বন্যাকবলিত এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানান, তারা এখন আর কেবল ত্রাণ চান না—তাদের চাওয়া স্থায়ী সমাধান। স্থানীয়দের দাবি, বন্যা মোকাবিলায় ৭,৩৪০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও তা যেন বাস্তবায়ন হয় সঠিকভাবে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, এখনও কিছু এলাকায় নদীর পানি বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় ফুলগাজীর ৬৭টি, পরশুরামের ২৭টি এবং ছাগলনাইয়ার ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বহু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পানির নিচে চলে গেছে।
ফেনী-পরশুরাম সড়কে এখনো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভারত সীমান্তবর্তী বল্লামুখা এলাকায় বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশে পানি প্রবেশ করছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে এবং দুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন