নিখোঁজের ৯ দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ এপ্রিল ২০২৫ (শনিবার) দুপুর দুইটার দিকে ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, শিশুটিকে হত্যা করে লাশ পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত কাফি খন্দকার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল কাফি। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও কাফি নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একমাত্র ছেলের কোনো সন্ধান পায়নি, ফলে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েন বাবা-মা। ২৬ এপ্রিল দুপুরে গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে কাফির অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরিবারের ধারণা, কাফিকে হত্যার পর লাশ পুকুরপাড়ে ফেলে রাখা হয়।
এ বিষয়ে নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্র নাথ সিংহ জানান, যেহেতু মরদেহ গলে-পচে গেছে, তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন