ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এই ঘোষণা দেন। একইসাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
মরিয়ম নওয়াজ বলেন, “ভারত হয়তো যুদ্ধ শুরু করেছে, কিন্তু শেষটা আমরা করব। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে সেটা সম্মানের ভিত্তিতে। কেউ যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তবে জাতি একত্র হয়ে তা মোকাবিলা করবে।”
তিনি আরও জানান, সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা শুরু হয় গত ২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে একটি হামলার পর। এরপর মঙ্গলবার রাতে ভারত পাকিস্তানের ছয়টি এলাকায় একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, পাঞ্জাবের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে, শিয়ালকোট, শকরগড় এবং পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদে হামলা চালানো হয়।
ভারত সরকার দাবি করেছে, তারা নয়টি স্থানে আঘাত হেনেছে তবে কোন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু ছিল না।
এই হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হন। প্রতিক্রিয়ায় রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ জানান, ভারতের পাঁচটি আকাশযান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন।
মন্তব্য করুন