পটিয়ায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ফসলি জমি ও পাহাড় কেটে মাটি লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২৫ জানুয়ারী ২০, ০২:২৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে দিনরাত ফসলি জমি ও পাহাড় কেটে মাটি লুটপাট চালিয়ে বিক্রি করছে মাটি খেকো চক্র। কোনোভাবেই এই মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে এই চক্রের সদস্যরা শাস্তির আওতার বাইরে থাকায় দিনের পর দিন কৃষি জমির টপসয়েল কেটে এবং পাহাড় ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে।

সূত্র জানায়, পটিয়ায় থানার নাম ভাঙিয়ে থানার সামনেই অফিস বসিয়ে এক সাংবাদিকের তত্ত্বাবধানে নুর আমিন ও নুরু নামে দুই ব্যক্তি ট্রাকপ্রতি ৪ হাজার টাকা আদায় করছে।

এই বিষয়ে একাধিকবার পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার জড়িত থাকার কারণে মাটি কাটা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়রা মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হাইদগাঁও মল্লপাড়া গ্রাম, সাতগাছিয়া দরবার সংলগ্ন পাহাড়, ধলঘাট ইউনিয়নের গৈড়লা গ্রাম, খরনা ইউনিয়ন, কচুয়াই শ্রীমাই, কেলিশহরের গুচ্ছ গ্রাম, কিল্লাপাড়া ও ছত্তরপেটুয়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে কৃষিজমির টপসয়েল ও পাহাড় কেটে সমতল করা হচ্ছে।

কেউ বাধা দিতে এলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে মাটি খেকোদের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। কৃষিজমি ধ্বংস এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলেও প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না থাকায় এই চক্রকে দমন করা যাচ্ছে না।

মানবাধিকার ও পরিবেশ আইনজীবী জাফর হায়দার বলেন, ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনে টপসয়েল কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ আইন অনুযায়ী অপরাধীদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। চট্টগ্রাম পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের নেতা আলিউর রহমান বলেন, কৃষিজমির টপসয়েল কাটার ফলে এর উর্বরতা হারাচ্ছে এবং পাহাড় কেটে সমতল করার কারণে জলবায়ুতে চরম প্রভাব পড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কল্পনা রহমান জানান, ফসল উৎপাদনের জন্য টপসয়েল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং একবার মাটি কেটে নিলে তা পুনরুদ্ধারে ৮ থেকে ১০ বছর সময় লাগে।

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান জানান, পটিয়ায় মাটি কাটার প্রবণতা বাড়ছে। যেখানে খবর পাওয়া যায়, সেখানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা এবং দায়ীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে থানার ওসিকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: শামসুল কবির শাহীন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
নির্বাহী সম্পাদক:এম.এ কাইয়ুম

■ অফিস  :
প্রধান কার্যালয় : ২৪, গার্ডেন ভিউ, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লুফ রোড (লিংক রোড), ৬নং ব্রীজ, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : চৌধুরী সেন্টার, (এডুকেশন বোর্ডের বিপরীতে), (লিফট–০৬), ২২৫ সিডিএ অ্যাভিনিউ, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।

মোবাইল : +88 01822-90 93 20
ই-মেইল : newsdesk24tv@gmail.com

কপিরাইট © 2018-2023 24tv.com.bd । একটি টুয়েন্টিফোর ফ্যামেলির প্রতিষ্ঠান
Design & Developed by Smart Framework